এই লাল দাগের আসল রহস্য লুকিয়ে আছে জনপ্রিয় কোরিয়ান ওয়েব সিরিজ ‘এস লাইন’-এ। এই থ্রিলারধর্মী সিরিজটি গত ১১ জুলাই থেকে কোরিয়ার স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ‘ওয়্যাভ’-এ সম্প্রচার শুরু হয়েছে এবং এর প্রভাব এখন সামাজিক মাধ্যমে স্পষ্ট।
সিরিজটির গল্প আবর্তিত হয় হিউন ইওপ নামের এক তরুণীকে ঘিরে, যে জন্ম থেকেই এক অসাধারণ ক্ষমতার অধিকারী। তার এই ক্ষমতা হলো, সে মানুষের মাথার ওপর একটি লাল রেখা দেখতে পায়, যা নির্দেশ করে কে কার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়েছে। এই ‘এস লাইন’ নামের রেখাগুলো শুধু তার কাছেই দৃশ্যমান। গল্পে মোড় নেয় যখন একটি বিশেষ চশমার মাধ্যমে আরও কয়েকজন এই লাল রেখা দেখতে শুরু করে। এরপরই সমাজে ছড়িয়ে পড়ে তীব্র বিশৃঙ্খলা। শিক্ষক, ছাত্র, পুলিশ—কেউই রেহাই পায় না এই নতুন বাস্তবতার প্রভাব থেকে। সম্পর্কের গোপনীয়তা, ব্যক্তিগত সীমা এবং সামাজিক নৈতিকতার সব সীমানা মুছে যায় এই ‘এস লাইন’-এর কারণে।
‘এস লাইন’ সিরিজটি জনপ্রিয় ওয়েবটুন নির্মাতা কোমাবি-র ‘ডেথ ট্রিলজি’র তৃতীয় কিস্তি। এর আগে এই সিরিজের ‘আ কিলার প্যারাডক্স’ এবং ‘আনরিজলভড’ দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল। ‘এস লাইন’ সম্পর্ক, গোপনীয়তা, ব্যক্তিগত সীমা এবং সামাজিক নৈতিকতার মতো বিষয়গুলো নিয়ে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করেছে, যা দর্শকদের মধ্যে গভীর আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
‘এস লাইন’-এর এই চমকপ্রদ গল্প দর্শকদের এতটাই মুগ্ধ করেছে যে, তারা এটি নিয়ে মিম বানানোর হিড়িকে মেতে উঠেছেন। অনেকে তাদের পুরনো প্রেমিক-প্রেমিকাদের ছবিতে লাল দাগ এঁকে মজা করছেন। উদাহরণস্বরূপ, বলিউড সুপারস্টার সালমান খানের ছবিতে নেটিজেনরা লাল দাগ এঁকেছেন, যা তার সাবেক প্রেমিকাদের ছবির দিকে গিয়ে শেষ হয়েছে—ক্যাটরিনা কাইফ, সংগীতা বিজলানি, ঐশ্বরিয়া রাই, জ্যাকুল