পতৌদি পরিবারের নবাব মনসুর আলি খান পতৌদি ও প্রখ্যাত অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুরের কন্যা সোহা আলি খান বলিউডে এক পরিচিত মুখ। তবে, তিনি সম্প্রতি একটি পডকাস্ট সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, তার জীবনের শুরুর দিকে তাকে সাধারণ মানুষের মতোই আর্থিক লড়াইয়ের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। এমনকি বাড়িভাড়া দেওয়ার জন্যও তাকে হিমশিম খেতে হতো।
সোহা আলি খান ‘লন্ডন স্কুল অব ইকনমিকস অ্যান্ড পলিটিকাল সায়েন্স’ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পর একটি ব্যাংকে চাকরি শুরু করেছিলেন। অভিনয় জগতে পা রাখার আগে তিনি মুম্বাইয়ে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। সে সময় তার মাসিক বাড়িভাড়া ছিল ১৭ হাজার টাকা, যা বছরে দুই লাখ চার হাজার টাকায় দাঁড়াত। তার বার্ষিক আয় ছিল মাত্র দুই লাখ বিশ হাজার টাকা। ফলে, তার বেতনের প্রায় পুরোটাই বাড়িভাড়ায় চলে যেত, আর সঞ্চয়ের জন্য কিছুই থাকত না।
সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান হয়েও কেন এমন জীবন বেছে নিয়েছিলেন? এ প্রশ্নের জবাবে সোহা বলেন, “আমি স্বাধীন জীবনযাপন করতে চেয়েছিলাম। নিজে রোজগার করলে নিজের সিদ্ধান্ত নিজেই নেওয়া যায়। অন্য কারও কথা মেনে চলার প্রয়োজন পড়ে না।”
চাকরি করতে করতেই সোহা অভিনয় জগতে প্রবেশের সিদ্ধান্ত নেন। তবে বাবা-মা এই সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন কিনা, তা নিয়ে তার মনে সংশয় ছিল। কিন্তু ততদিনে তিনি আর্থিকভাবে স্বাধীন হয়ে উঠেছিলেন, তাই নিজের সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন।
স্বাধীনতার পাশাপাশি পরিবারের সমর্থনও তার জন্য ছিল বড় শক্তি। সোহা বলেন, “আমি রোজগার করছিলাম ঠিকই, তবে আমার একটা সুবিধা ছিল। আমার কিছু দরকার পড়লে আমি আমার বাবা-মায়ের কাছ থেকে সাহায্য পেতাম। এই সুবিধা অনেকের থাকে না। এটি আমার আত্মবিশ্বাসকে আরও জোরদার করেছে।”
সোহা আলি খানের এই গল্প আমাদের মনে করিয়ে দেয়, সাফল্যের পথে কঠোর পরিশ্রম ও স্বাধীনতার মূল্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আজ বলিউডে একজন প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রী হিসেবে পরিচিত হলেও, তার এই সংগ্রামী যাত্রা অনেকের জন্যই প্রেরণার উৎস।