শর্মিলা ঠাকুর জানান, ১৯৬৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘অ্যান ইভিনিং ইন প্যারিস’ সিনেমায় তাকে বিকিনি পরে অভিনয় করতে হয়েছিল। তবে পরিচালক তাকে জোর করেননি; নিজের ইচ্ছাতেই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তিনি বলেন, “এটাই পরবর্তী সময়ে অনেক বড় ঘটনার জন্ম দিয়েছিল। ভাবিনি এক টুকরো কাপড়ের জন্য কত বিতর্কে জড়িয়েছিলাম।”
অভিনেত্রী আরও বলেন, “আমি যা করেছি দর্শকদের জন্য। আমার পরিচালক আমাকে বুঝিয়েছিলেন যে, দর্শকদের জন্যই আজ আমি এখানে। তাই তারা যেভাবে আমাকে দেখতে চান, সেভাবেই চলতে হবে।” তিনি জানান, তিনি দর্শকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় ও গ্রহণযোগ্য হতে চেয়েছিলেন এবং মনে করেন সেই লক্ষ্যে তিনি সফল হয়েছিলেন। “ভালোই লাগছিল আমাকে,” হাসতে হাসতে বলেন শর্মিলা।
তবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া তার জন্য সহজ ছিল না। সেই সময় তিনি এখনো বিয়ে করেননি, তবে পতৌদি মনসুর আলি খানের সঙ্গে তার সম্পর্ক চলছিল। হবু শাশুড়ির প্রতিক্রিয়া নিয়ে তিনি বেশ ভয়ে ছিলেন। তিনি জানান, শ্বশুরবাড়ির কাছাকাছি থাকা সিনেমার বিকিনি পোস্টারগুলো রাতারাতি ড্রাইভার পাঠিয়ে ছিঁড়ে ফেলতে হয়েছিল তাকে।
তবে পতৌদি মনসুর আলি খান টেলিগ্রামের মাধ্যমে তার পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন। হাসতে হাসতে শর্মিলা বলেন, “যদিও এসব নিয়ে কোনো ঝামেলাই হয়নি। আম্মা (শাশুড়ি) কিছুই বলেননি।”
শর্মিলা ঠাকুরের এই সাহসী পদক্ষেপ তৎকালীন বলিউডে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছিল এবং তার ক্যারিয়ারে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হয়।