Friday, August 29, 2025

শর্মিলা ঠাকুরের বিকিনি বিতর্ক: ‘অ্যান ইভিনিং ইন প্যারিস’ সিনেমার অজানা কাহিনি

বর্তমানে বিকিনি পরা নায়িকাদের দেখা সাধারণ হলেও, ’৬০-এর দশকে বলিউডে এমন দৃশ্য ছিল বিরল। সেই সময় তথাকথিত সামাজিক ট্যাবু ভেঙে বিকিনিতে ক্যামেরার সামনে ধরা দিয়েছিলেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর। সম্প্রতি এক গণমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে তিনি জীবনের এই অজানা কাহিনি শেয়ার করেছেন।

শর্মিলা ঠাকুর জানান, ১৯৬৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘অ্যান ইভিনিং ইন প্যারিস’ সিনেমায় তাকে বিকিনি পরে অভিনয় করতে হয়েছিল। তবে পরিচালক তাকে জোর করেননি; নিজের ইচ্ছাতেই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তিনি বলেন, “এটাই পরবর্তী সময়ে অনেক বড় ঘটনার জন্ম দিয়েছিল। ভাবিনি এক টুকরো কাপড়ের জন্য কত বিতর্কে জড়িয়েছিলাম।”

অভিনেত্রী আরও বলেন, “আমি যা করেছি দর্শকদের জন্য। আমার পরিচালক আমাকে বুঝিয়েছিলেন যে, দর্শকদের জন্যই আজ আমি এখানে। তাই তারা যেভাবে আমাকে দেখতে চান, সেভাবেই চলতে হবে।” তিনি জানান, তিনি দর্শকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় ও গ্রহণযোগ্য হতে চেয়েছিলেন এবং মনে করেন সেই লক্ষ্যে তিনি সফল হয়েছিলেন। “ভালোই লাগছিল আমাকে,” হাসতে হাসতে বলেন শর্মিলা।

তবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া তার জন্য সহজ ছিল না। সেই সময় তিনি এখনো বিয়ে করেননি, তবে পতৌদি মনসুর আলি খানের সঙ্গে তার সম্পর্ক চলছিল। হবু শাশুড়ির প্রতিক্রিয়া নিয়ে তিনি বেশ ভয়ে ছিলেন। তিনি জানান, শ্বশুরবাড়ির কাছাকাছি থাকা সিনেমার বিকিনি পোস্টারগুলো রাতারাতি ড্রাইভার পাঠিয়ে ছিঁড়ে ফেলতে হয়েছিল তাকে।

তবে পতৌদি মনসুর আলি খান টেলিগ্রামের মাধ্যমে তার পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন। হাসতে হাসতে শর্মিলা বলেন, “যদিও এসব নিয়ে কোনো ঝামেলাই হয়নি। আম্মা (শাশুড়ি) কিছুই বলেননি।”

শর্মিলা ঠাকুরের এই সাহসী পদক্ষেপ তৎকালীন বলিউডে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছিল এবং তার ক্যারিয়ারে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হয়।


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.