গাজায় প্রায় দুই বছর ধরে চলা এই সংঘাত ও ইসরাইলি অবরোধের কারণে তীব্র খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। ইউনিসেফের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ১৮,০০০-এর বেশি শিশু নিহত হয়েছে, এবং প্রতিদিন গড়ে ২৮ জন শিশু প্রাণ হারাচ্ছে। অপুষ্টি ও অনাহারে শিশুরা মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। সম্প্রতি মানবিক সহায়তার জন্য সীমিত প্রবেশাধিকার দেওয়া হলেও, তা চাহিদার তুলনায় নগণ্য।
এদিকে, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দাবি করেছেন, গাজার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিলে যুদ্ধ শেষ হবে। তিনি বলেন, “গাজা শহর ও হামাসের শক্ত ঘাঁটিগুলো দখল করাই যুদ্ধ শেষ করার সর্বোত্তম ও দ্রুততম উপায়।” তবে, নেতানিয়াহু সরকারের এই পরিকল্পনা ঘোষণার পর বিশ্বজুড়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের মতো দেশগুলো ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের স্বীকৃতির পক্ষে অবস্থান নিয়েছে, এবং যুদ্ধবিরতির দাবি জোরালো হয়েছে।
পোপ লিও XIV, যিনি মে মাসে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে গাজার মানবিক সংকট নিয়ে সোচ্চার, তিনি ইতোমধ্যে যুদ্ধবিরতি ও মানবিক সহায়তার প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি গাজার শিশু ও বেসামরিক নাগরিকদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে বলেছেন, “আমি গাজার মানুষের দুর্দশার কথা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে অনুসরণ করছি।”
ম্যাডোনার এই আবেদন এবং পোপ লিওর অবস্থান গাজার চলমান সংকটের প্রতি বিশ্বব্যাপী দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। তবে, নেতানিয়াহুর পরিকল্পনা ও ইসরাইলের অবরোধের মধ্যে গাজার মানবিক পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়াবহ হচ্ছে। বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে এখন প্রশ্ন, কীভাবে এই সংকটের অবসান হবে এবং শিশুদের জীবন রক্ষা করা যাবে।