‘পিলু’ ধারাবাহিকের পর ছোটপর্দায় আর দেখা যায়নি ইধিকাকে। এরপর তিনি একের পর এক সিনেমায় অভিনয় করে নিজের প্রতিভার প্রমাণ দিয়েছেন। শাকিব খান, দেব এবং সোহম চক্রবর্তীর মতো তারকাদের সঙ্গে জুটি বেঁধে তিনি দর্শকদের মন জয় করেছেন। ‘প্রিয়তমা’ থেকে ‘কিশোরী’— তার প্রতিটি চরিত্র দর্শকদের কাছে প্রিয় হয়ে উঠেছে।
ইধিকা বলেন, “পূজাটা আমার কাছে শাসন থেকে মুক্তির মতো। আমি দক্ষিণ কলকাতায় বড় হয়েছি, যেখানে প্রতি দুই পা অন্তর বড় বড় পূজা। কিন্তু ভিড় আমার ভালো লাগত না, তাই ‘প্যান্ডেল হপিং’ খুব একটা করিনি। তবে এখন ভিড় ভালো লাগে। লোকে চিনতে পারে, অটোগ্রাফ চায়— এটা ভালো লাগে।”
ছোটবেলার স্মৃতি তুলে ধরে তিনি বলেন, “ছোটবেলায় বাবার হাত ধরে পূজা দেখতে যেতাম। বড় হওয়ার পর বন্ধুদের সঙ্গে রাতে বেরোনোর ছাড়পত্র পেয়েছি, সঙ্গে হাত খরচ। সারা বছর বাড়ি থেকে বেরোনোর অনুমতি ছিল না, তাই পূজার দিনগুলো ছিল দারুণ মজার। হোটেলে খাওয়া, কলকাতা ঘোরা— সব উপভোগ করতাম।”
তবে পূজার সময় প্রেমের সুযোগ তিনি পাননি। ইধিকা হেসে বলেন, “অনেকে পূজায় প্রেম করত, কিন্তু আমার মা কড়া শাসনে রাখতেন। প্রেমের চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু ধরা পড়ে যেতাম। এখন মা নিজেই বলেন, ‘একটা প্রেম তো করতে পারিস!’”
এ বছরের পূজা ইধিকার কাছে বিশেষ। তিনি বলেন, “‘খাদান’ সিনেমার বাণিজ্যিক সাফল্যের পর এটি আমার প্রথম পূজা। তাই বাড়তি উৎসাহ রয়েছে। এই পূজাতেই বুঝব, জনপ্রিয়তা কতটা বেড়েছে।” তিনি আরও বলেন, “শিল্পী হিসেবে ঝড়বৃষ্টি, শরীর খারাপ উপেক্ষা করে কাজ করি। কিন্তু দর্শক যখন চিনতে পারে, ছবি তুলতে ছুটে আসে, তখন সব কষ্ট মুছে যায়। আমি কখনো কাউকে ফিরিয়ে দিই না।”
পূজার সময় মেকআপ থেকে নিজেকে ছুটি দেন ইধিকা। তিনি বলেন, “সারা বছর এত সাজতে হয়, তাই পূজায় সাজি না। তবে খেতে ভালোবাসি। নানা রকমের পদ দিয়ে জমিয়ে খাই। একদিন বাড়ির সবাইকে নিয়ে ভালো রেস্তোরাঁয় খাওয়াদাওয়া করি।” শাড়ি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “‘কিশোরী’ গানের পর শিফন শাড়ির জনপ্রিয়তা বেড়েছে, সেটা উপভোগ করছি। ছোটবেলায় শ্রীদেবী, প্রিয়াংকা চোপড়াকে অনুকরণ করতাম। এই পূজায় কেউ আমাকে অনুকরণ করলে ভালো লাগবে।”
ইধিকা পালের এই সাফল্য ও তার জীবনের খোলামেলা কথাগুলো ভক্তদের মাঝে নতুন করে উৎসাহ সৃষ্টি করেছে।
