এক সাক্ষাৎকারে কঙ্গনাকে প্রশ্ন করা হয়, তিনি কি কখনও সঙ্গী খুঁজতে ডেটিং অ্যাপ ব্যবহার করেছেন? এই প্রশ্নে তিনি তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখান। তিনি বলেন, “আমি কখনো ডেটিং অ্যাপে থাকতে চাইনি। এটা হলো সমাজের নর্দমার মতো। এদের প্রত্যেকের জীবনেই কিছু না কিছু প্রয়োজন থাকে। কারো আর্থিক প্রয়োজন, কারো শারীরিক প্রয়োজন।”
আধুনিক যুগের সম্পর্ক নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, “আজকের যুগে নারী-পুরুষ উভয়েরই কিছু না কিছু প্রয়োজন থাকে। কিন্তু সেই প্রয়োজনগুলো বোঝা যাবে কীভাবে? সুস্থ ও ভদ্রভাবে সম্পর্ক তৈরি করা উচিত, নাকি রোজ রাতে সঙ্গী খুঁজতে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে যাওয়ার মতো অসভ্যতা করা উচিত? এই হলো আজকের যুগের সম্পর্কের ধরন, যেটা খুবই ভয়ানক।”
কঙ্গনা আরও বলেন, যারা ডেটিং অ্যাপ ব্যবহার করেন, তাদের সঙ্গে কথা বলতেও তিনি ঘৃণা বোধ করেন। তিনি মনে করেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা কর্মক্ষেত্রে আদর্শ সম্পর্ক গড়ে ওঠার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়া, তিনি পরিবারের মাধ্যমে সম্বন্ধ করে বিয়ে করার পদ্ধতিরও সমর্থন করেন।
তিনি বলেন, “অফিসে বা কলেজে আপনি ভালো মানুষ খুঁজে পেতে পারেন। অথবা আপনার বাবা-মাও ভালো সঙ্গী খুঁজে দিতে পারেন। আমার মতো কাউকে ডেটিং অ্যাপে খুঁজে পাবেন না। রাজ্যের যত অপদার্থ লোকজন, যারা জীবনে কিছুই করে উঠতে পারেনি, তাদেরই সেখানে পাবেন। অফিসে বা কলেজে খুঁজে পাননি, বাবা-মাও কাউকে খুঁজে দিতে পারেননি, তাই আপনি ডেটিং অ্যাপ ব্যবহার করছেন। নিজের চরিত্র কতটা খারাপ, সেটা আপনি নিজেই ভাবুন!”
কঙ্গনার এই বক্তব্য সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকে তার মতামতের সমর্থন করলেও, অনেকে এটিকে অতিরঞ্জিত ও আক্রমণাত্মক বলে সমালোচনা করেছেন।