জি বাংলার পুরোনো রিয়েলিটি শো ‘হ্যাপি প্যারেন্টস ডে’-তে অতিথি হিসেবে এসে শুভশ্রী তার জীবনের কঠিন সময়ের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “আমি খুব ছোট বয়সে জীবনের খারাপ সময় পার করেছি। একটা সময় কাজ থেকেও মন উঠে গিয়েছিল। নিজেই সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজ ছেড়ে দিই। ‘পরাণ যায় জ্বলিয়া রে…’ ছবির পর কাজ বন্ধ করে দিয়েছিলাম।”
কিন্তু যে সম্পর্কের জন্য তিনি সবকিছু ত্যাগ করেছিলেন, সেই সম্পর্ক টিকল না। তখনই তিনি বুঝতে পারেন জীবনের অনিশ্চয়তা। শুভশ্রী বলেন, “সেই সময় আমি আমার চারটি বছর নষ্ট করেছি। মনের কষ্ট বাবা-মায়ের সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারিনি। বাইরে হাসিখুশি থাকলেও, পাঁচ মিনিট পরপর বাথরুমে গিয়ে কেঁদে ফিরতাম।”
তবে জীবনের সেই কঠিন সময়ও তাকে ভেঙে দিতে পারেনি। তিনি বলেন, “যখন আমার আর কিছু হারানোর ছিল না, তখনই বলেছিলাম—যা পাব, সেটাই আমার প্রাপ্তি। তারপর থেকে ঈশ্বরের আশীর্বাদে জীবনে সাফল্য আসতে শুরু করে।”
ভালোবাসা নিয়ে তার বিশ্বাস আজও অটুট। শুভশ্রীর কথায়, “আমি ভালোবাসাকে কখনও অস্বীকার করিনি। খারাপ অভিজ্ঞতা হলেও ভালোবাসা একটি সুন্দর অনুভূতি। পৃথিবীর সবাই ভালোবাসার খোঁজে আসে। পেশা, টাকা—সব পরে আসে। ভালোবাসা থাকলে সবকিছুই সহজ হয়ে যায়।”
বর্তমানে পরিচালক রাজ চক্রবর্তীকে বিয়ে করে সুখের সংসার করছেন শুভশ্রী। ছেলে ইউভানকে নিয়ে তার জীবন এখন আনন্দে ভরপুর। এর মধ্যেই প্রাক্তন দেবের সঙ্গে ‘ধুমকেতু’ ছবিতে আবারও পর্দায় হাজির হচ্ছেন এই অভিনেত্রী।