ফেসবুকে ফারিয়া লিখেছিলেন, “আমরা তিন বছর আগে বাগদানের ঘোষণা করেছিলাম। অনেক ভেবে আমি ও রনি আমাদের ৯ বছরের সম্পর্কের ইতি টানছি। আমাদের মধ্যে যে বোঝাপড়া ও বন্ধুত্ব ছিল, তা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।”
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নুসরাত জানান, বাগদান ভাঙার সিদ্ধান্ত তার জীবনের অন্যতম কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল। তিনি বলেন, “মা-বাবা আর রনি—এই ছিল আমার পৃথিবী। ওকে ছাড়া কিছু ভাবতে পারতাম না। ছোটবেলা থেকে আমাদের সম্পর্ক ছিল। একসঙ্গে থাকা, সময় কাটানো—এসবের সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিলাম। তাই রনির সঙ্গে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত আমার কাছে বড় বিষয় ছিল।”
প্রায় চার বছর ধরে এই বিষয়টি প্রকাশ করার মানসিক জোর সংগ্রহ করেছেন নুসরাত। তিনি বলেন, “১০ বছর অনেক বড় সময়। এত দিনের সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে মনের জোর লাগে। কীভাবে বলব, বুঝতে পারছিলাম না। রনি জানতে চেয়েছিল একসঙ্গে থাকতে চাই কিনা, কিন্তু আমাদের সম্পর্কের কোনো ভবিষ্যৎ ছিল না।”
বিচ্ছেদের পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন নুসরাত। তিনি বলেন, “মানসিক অবসাদের জন্য তিন মাস কাজ করিনি। এখনও ওষুধ খাচ্ছি অবসাদ কাটানোর জন্য। পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি।”
এদিকে, সম্প্রতি এক বিতর্কিত কারণে নুসরাতকে একদিনের জন্য জেল হেফাজতেও থাকতে হয়েছিল। তবে বর্তমানে তিনি ধীরে ধীরে পুরনো ছন্দে ফিরছেন এবং নিজেকে আবার প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছেন।
