প্রতিবেদন অনুযায়ী, কালাভাবন নাভাস মালয়ালাম চলচ্চিত্র ‘প্রকামবনম’-এর শুটিংয়ের জন্য চোট্টানিক্কারার ওই হোটেলে অবস্থান করছিলেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় তার হোটেল থেকে চেক-আউট করার কথা ছিল। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে তিনি রিসেপশনে না আসায় শুটিং ইউনিট ও হোটেল কর্মীরা তার ঘরে গিয়ে তাকে অচৈতন্য অবস্থায় পান। তারা তৎক্ষণাৎ পুলিশকে খবর দেন, এবং পুলিশ তাকে এসডি টাটা হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। হাসপাতালে পৌঁছানোর পর চিকিৎসকেরা তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
চোট্টানিক্কারা পুলিশ জানিয়েছে, হোটেলের ঘরে কোনো সন্দেহজনক চিহ্ন পাওয়া যায়নি। মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ধারণের জন্য শনিবার (২ আগস্ট) কালামাসেরির সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হবে। এরপর তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন অভিনেতার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “কালাভাবন নাভাস মিমিক্রির মাধ্যমে অভিনয় জগতে প্রবেশ করে হাস্যরসাত্মক অভিনয়ে নতুন মাত্রা যোগ করেছিলেন। তিনি তার মঞ্চ প্রদর্শনীর মাধ্যমে অগণিত দর্শকের হৃদয় জয় করেছিলেন।”
কালাভাবন নাভাস কোচিন কালাভাবন মিমিক্রি ট্রুপের মাধ্যমে তার ক্যারিয়ার শুরু করেন এবং বিভিন্ন অভিনেতার কণ্ঠস্বর অনুকরণে দক্ষতা অর্জন করেন। ১৯৯৫ সালে ‘চৈথন্যম’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তিনি মালয়ালাম চলচ্চিত্রে অভিষেক করেন। তিনি ‘মিমিক্স অ্যাকশন ৫০০’, ‘হিটলার ব্রাদার্স’, ‘জুনিয়র ম্যান্ড্রেক’, ‘মাট্টুপেট্টি মাচান’, ‘চন্দামামা’, এবং ‘থিল্লানা থিল্লানা’-এর মতো জনপ্রিয় চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। এছাড়া তিনি প্লে-ব্যাক গায়ক এবং টেলিভিশন সিরিয়ালে কৌতুক অভিনেতা হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন।
নাভাসের স্ত্রী রেহানা এবং তিন সন্তান—নাহারিন, রিহান ও রিদওয়ান—তাকে রেখে গেছেন। তার মৃত্যু মালয়ালাম চলচ্চিত্র ও মিমিক্রি জগতে এক অপূরণীয় ক্ষতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।