‘সাইয়ারা’র সাফল্য রীতিমতো বলিউডকে নতুন করে জাগিয়ে তুলেছে। প্রেক্ষাগৃহে দর্শকদের উপচে পড়া ভিড়, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম বা জেনারেশন জেড-এর মধ্যে সিনেমাটি নিয়ে অভূতপূর্ব উন্মাদনা দেখা গেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, দর্শকরা সিনেমা হলে মোবাইলের ফ্ল্যাশ জ্বালিয়ে কনসার্টের আমেজ তৈরি করছেন এবং আহান পাণ্ডেকে দেখে উল্লাসে ফেটে পড়ছেন।
বলিউড সুপারস্টার আমির খান সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে ‘সাইয়ারা’র সাফল্য নিয়ে মুখ খুলেছেন। তিনি বলেন, “‘সাইয়ারা’র সাফল্যের পেছনে রয়েছে প্রজন্মভিত্তিক রুচির পরিবর্তন এবং গল্প বলার ভিন্ন ধারা। এই সিনেমা জেন জেড প্রজন্মের সঙ্গে দারুণভাবে মিলে গেছে।” আমির আরও জানান, তিনি এমন সিনেমা নির্মাণ করতে চান, যা সব বয়স ও বিভিন্ন রুচির দর্শকদের কাছে পৌঁছাতে পারে। তিনি বলেন, “ভিন্ন ভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ করতে পারলে আমি সৃষ্টিশীলতার স্বাধীনতা পাই এবং নানা শ্রেণির দর্শকের কাছে পৌঁছাতে পারি।”
আমিরের প্রযোজনা সংস্থা এই সাফল্য উদযাপন করে এক বিবৃতিতে আহান পাণ্ডে ও অনীত পাড্ডার অভিনয়ের প্রশংসা করেছে। তারা জানিয়েছে, পরিচালক মোহিত সুরি তাঁর স্বকীয় শৈলী এবং আবেগমিশ্রিত গল্পের মাধ্যমে সিনেমাটিকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। এছাড়া, যশ রাজ ফিল্মসের সাহসী সমর্থন এবং সিনেমার সংগীত ও আবেগের মেলবন্ধন দর্শকদের মনে গভীর ছাপ ফেলেছে।
‘সাইয়ারা’র গল্প একজন সমস্যাগ্রস্ত সঙ্গীতশিল্পী কৃষ কাপুর (আহান পাণ্ডে) এবং লাজুক কবি বাণী বাত্রা (অনীত পাড্ডা)-এর গভীর প্রেমের কাহিনি, যা ২০০৪ সালের কোরিয়ান চলচ্চিত্র “আ মোমেন্ট টু রিমেম্বার”-এর উপর ভিত্তি করে নির্মিত। সিনেমাটির সংগীত, আহান ও অনীতের রসায়ন এবং মোহিত সুরির পরিচালনা দর্শকদের মুগ্ধ করেছে। প্রথম সপ্তাহেই ছবিটি ১৫০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে, এবং এটি ২০২৫ সালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আয়কারী হিন্দি ও ভারতীয় ছবি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
তবে, সমালোচকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে। গাল্ফ নিউজের মঞ্জুষা রাধাকৃষ্ণণ সিনেমাটিকে ৫-এর মধ্যে ২ স্টার দিয়েছেন, এটিকে দৃশ্যত মসৃণ কিন্তু আবেগগতভাবে অগভীর বলে মন্তব্য করেছেন। তবুও, তরুণ দর্শকদের মধ্যে ‘সাইয়ারা’র জনপ্রিয়তা অতুলনীয়, এবং এটি বলিউডের প্রেমের গল্পের ধারাকে নতুন করে জাগিয়ে তুলেছে।