Saturday, July 19, 2025

চিকিতসার অভাবে প্রয়াত জনপ্রিয় তেলেগু অভিনেতা ফিশ ভেঙ্কট

 দক্ষিণ ভারতের জনপ্রিয় অভিনেতা ও কৌতুকশিল্পী ফিশ ভেঙ্কট চিকিতসার অভাবে মৃত্যুবরণ করেছেন। শুক্রবার (১৮ জুলাই) হায়দরাবাদের একটি হাসপাতালে ৫৩ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। দীর্ঘ চার বছর ধরে কিডনি সমস্যায় ভুগছিলেন এই অভিনেতা। চিকিতসকরা কিডনি প্রতিস্থাপনের পরামর্শ দিলেও ৫০ লাখ রুপির চিকিতসা ব্যয় বহন করা তার পরিবারের পক্ষে সম্ভব হয়নি।

তেলেগু চলচ্চিত্রে দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে কাজ করেছেন ফিশ ভেঙ্কট, যার আসল নাম ভেঙ্কট রাজ। হাস্যরসাত্মক চরিত্রে তার অনন্য উপস্থিতি ও তেলেঙ্গানা উচ্চারণে সংলাপ বলার ধরন তাকে দর্শকদের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয়তা এনে দিয়েছিল। কিন্তু জীবনের শেষ পর্যায়ে তাকে লড়তে হয়েছে চিকিতসার খরচ জোগাড়ের জন্য।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত কয়েক মাস ধরে কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন ভেঙ্কট। তার শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হলে চিকিতসকরা জরুরি কিডনি প্রতিস্থাপনের পরামর্শ দেন। এই চিকিতসার জন্য প্রায় ৫০ লাখ রুপি খরচ ধরা হয়। ভেঙ্কটের মেয়ে শ্রাবন্তী এক ভিডিও বার্তায় জনসাধারণের কাছে আর্থিক সাহায্যের আবেদন জানান। তিনি বলেন, “বাবা খুবই অসুস্থ, আইসিইউতে আছেন। তাকে জরুরি কিডনি প্রতিস্থাপন করতে হবে, যার জন্য ৫০ লাখ রুপি প্রয়োজন।”

সাহায্যের আশায় অনেকে ভেঙ্কট পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও দুঃখজনকভাবে তারা প্রতারণার শিকার হন। পরিবার জানায়, অভিনেতা প্রভাসের নাম ব্যবহার করে এক ব্যক্তি নিজেকে তার সহকারী হিসেবে পরিচয় দিয়ে আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, যা পরে ভুয়া বলে প্রমাণিত হয়।
কিছু সহশিল্পী ও স্থানীয় প্রশাসন থেকে সামান্য সহযোগিতা এসেছিল। তেলেগু তারকা পাওয়ান কল্যাণ ২ লাখ রুপি, অভিনেতা বিশ্বক সেন এবং এক তেলেঙ্গানা মন্ত্রী কিছু আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। কিন্তু উপযুক্ত কিডনি দাতার অভাবে এবং সময়ের স্বল্পতায় প্রতিস্থাপন সম্ভব হয়নি।

২০০০ সালে ‘খুশি’ সিনেমার মাধ্যমে ফিশ ভেঙ্কটের চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু হয়। এরপর তিনি ‘আদি’, ‘বান্নি’, ‘ধী’, ‘গব্বর সিং’, ‘অধুর্স’, ‘ডিজে টিল্লু’, ‘স্লাম ডগ হাজব্যান্ড’সহ ১৫০টির বেশি সিনেমায় অভিনয় করেন। সর্বশেষ ২০২৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘কফি উইথ আ কিলার’ সিনেমায় গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা গেছে তাকে।

তেলেগু চলচ্চিত্র জগতে ফিশ ভেঙ্কটের মৃত্যু একটি বড় শূন্যতা সৃষ্টি করেছে। তাঁর অনন্য অভিনয় ও কৌতুকের ধরন দর্শকদের হৃদয়ে চিরস্থায়ী ছাপ রেখে গেছে। তিনি তাঁর স্ত্রী সুবর্ণা ও দুই কন্যা রেখে গেছেন।


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.