রাজিনীকান্ত ও লোকেশ কানাগারাজ—দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমার দুই মহীরুহ। এই দুই প্রবাদপ্রতিম শক্তির মিলনে ‘কুলি’ ছবিটি যেন ইতিমধ্যেই আগুনের মতো ছড়িয়ে পড়েছে। এখনও মুক্তি না পেলেও, ছবিটি বক্স অফিসে নতুন ইতিহাস রচনার পথে এগিয়ে চলেছে।
ছবির থিয়েট্রিক্যাল রাইটস (তামিলনাড়ু ও উত্তর ভারত বাদে) থেকে ইতিমধ্যেই আয় হয়েছে ১৬৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে শুধু কর্নাটক থেকেই এসেছে ২৩ কোটি টাকা। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের প্রি-রিলিজ ব্যবসা মিলিয়ে ছবিটি ৫০০ কোটি টাকার কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।
তবে গল্প এখানেই শেষ নয়। ওটিটি, স্যাটেলাইট এবং অডিও রাইটসের আয় যোগ করলে ছবির ব্রেক-ইভেন পয়েন্ট প্রায় ৬০০ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। এর ফলে ‘কুলি’ এখন ভারতের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ও উচ্চাভিলাষী প্রকল্পগুলোর একটিতে পরিণত হয়েছে।
২০২৫ সালে বক্স অফিসে, বিশেষ করে বলিউডের কিছু অংশে, ব্যবসা তুলনামূলকভাবে মন্থর থাকলেও, রাজিনীকান্তের অতুলনীয় স্টারডম এবং লোকেশ কানাগারাজের টানা ব্লকবাস্টার হিট-এর রেকর্ডের ওপর ভর করে ব্যবসায়ীরা ‘কুলি’-কে নিশ্চিত সাফল্য হিসেবে দেখছেন।
সামনে ‘ওয়ার ২’-এর মতো বড় বাজেটের ছবির সঙ্গে প্রতিযোগিতা থাকলেও, ট্রেড বিশ্লেষকদের মতে, ‘কুলি’ ঘিরে যে অভূতপূর্ব আগ্রহ তৈরি হয়েছে, তাতে রাজিনীকান্তের অপ্রতিরোধ্য জনপ্রিয়তা এই ছবিকে বক্স অফিসে রেকর্ড ভাঙতে সাহায্য করবে।
এখন শুধু অপেক্ষা মুক্তির দিনের জন্য। রাজিনীকান্ত ও লোকেশের এই ঝড় কতদূর গড়াবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।