প্রাথমিকভাবে বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ না খুললেও ঋত্বিক এবার কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগের দ্বারস্থ হয়েছেন। বুধবার বিকেলে তিনি এই ভিডিও নিয়ে অভিযোগ জানাতে থানায় যান এবং গণমাধ্যমের সামনেও মুখ খুলেছেন। ঋত্বিক বলেন, ‘আমার তো রোজ শুটিং থাকে। আমি শুটিংয়ে খুবই ব্যস্ত ছিলাম। তাই প্রথমে বিষয়টিকে খুব একটা গুরুত্ব দিইনি। কিন্তু যারা আমার ছোটবেলার বন্ধু-বান্ধব, তারা যখন আমাকে বিষয়টি বলল, তখন সত্যিই একটু নড়েচড়ে বসলাম। প্রথমে ভেবেছিলাম ফেক ভিডিও, ছেড়ে দিই। কিন্তু শেষে যখন দেখলাম জল মাথার ওপর দিয়ে বইছে, তখন কিছু পদক্ষেপ না করে থাকতে পারলাম না।’
ঋত্বিক আরও বলেন, ‘আমি নিজেই ভিডিওটি দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। আমি কোনো কালেই এ রকম দেখতে ছিলাম না। সাইবার সেল পরীক্ষা করে জানায়, এটা মর্ফড। আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে, এবং খুবই বাজেভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এর পেছনে কার হাত আছে, সেটা এখনো জানা যায়নি। তবে আশা করছি, খুব শিগগিরই জেনে যাব।’
তিনি জানান, ‘প্রথমে আমি সাইবার সেলের সঙ্গে যোগাযোগ করি। ওদের সব কিছু জানাই এবং যা যা করণীয়, সবই করি। ওরা আমাকে জানিয়েছেন, খুব শিগগিরই আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন এবং ইতিমধ্যে নিয়েও নিয়েছেন।’
গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক মাধ্যমে এবং বিভিন্ন মানুষের মুঠোফোনে এই ধরনের একাধিক ভিডিও ঘুরে বেড়াচ্ছে। ঋত্বিকের পাশাপাশি সাহেব ভট্টাচার্যকেও নানাভাবে কটাক্ষ করছেন অনেকে। তবে সাহেবের পাশে দাঁড়িয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছিলেন সুজয়প্রসাদ। ঋত্বিকের পক্ষে এখন পর্যন্ত তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।
সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল এই ভিডিও নিয়ে ঋত্বিকের অভিযোগের পর সাইবার ক্রাইম বিভাগ তদন্ত শুরু করেছে। এই ঘটনা টলিউডে ক্রমবর্ধমান সাইবার অপরাধের একটি উদাহরণ হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা শিল্পীদের মধ্যে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।