Friday, July 25, 2025

যুক্তরাষ্ট্রে ছেলের সঙ্গে সময় কাটাতে উচ্ছ্বসিত শাকিব খান, যোগ দিলেন বুবলী ও শেহজাদ

ঈদুল আজহায় মুক্তিপ্রাপ্ত শাকিব খান অভিনীত আলোচিত সিনেমা ‘তাণ্ডব’ এখন দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাগৃহেও প্রদর্শিত হচ্ছে। ছবির প্রচার, নতুন চলচ্চিত্র প্রকল্পের প্রস্তুতি এবং ব্যক্তিগত কিছু প্রয়োজনে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন ঢালিউডের মেগাস্টার শাকিব খান

সম্প্রতি একাধিক নতুন ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর গত ১৩ জুলাই তিনি ঢাকা ত্যাগ করেন। এরপর প্রায় দুই সপ্তাহ পর, তাদের একমাত্র সন্তান শেহজাদ খান বীরকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে উড়াল দিয়েছেন চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী। জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার তারা যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে রওনা দেন।

ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, এই সফরে প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্রের কাজ সেরে নিতে চান বুবলী। পাশাপাশি, ছেলের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ পেয়ে আনন্দিত শাকিব খান। এক গণমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি বলেন, “শেহজাদের মা জানিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রে আসছে। শেহজাদের কিছু দরকারি কাজ আছে, তার মায়েরও। যেহেতু আমি এখন এখানে, বাবা-ছেলে মিলে কিছুটা সময় একসঙ্গে কাটাতে পারব। সব সময় তো কাজের ব্যস্ততায় সন্তানদের সময় দেওয়া হয় না, এবার চেষ্টা করব শেহজাদকে কিছু সুন্দর স্মৃতি উপহার দিতে।”

তিনি আরও বলেন, “শেহজাদকেও সেভাবেই সময় দিব, যেমনটা এর আগে এখানে আব্রামকেও সময় দিয়েছিলাম। সবার কাছে আমি হয়তো প্রিয় তারকা, কিন্তু আব্রাম ও শেহজাদের কাছে আমি তাদের বাবা। ওদের দুজনের প্রতিই আমার সমান ভালোবাসা।”

এর আগেও যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালে প্রথম সন্তান আব্রাম খান জয়কে নিয়ে সময় কাটানোর কথা জানিয়েছিলেন শাকিব। এবার তিনি একইভাবে শেহজাদকেও সময় দিতে চান বলে জানান।

প্রসঙ্গত, শাকিব খানের প্রথম সন্তান আব্রাম খান জয় অপু বিশ্বাসের সঙ্গে তার বৈবাহিক জীবনের ফল। ২০১৬ সালে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করে আব্রাম। আর শবনম বুবলীর সঙ্গে দ্বিতীয় সন্তান শেহজাদ খান বীর জন্ম নেয় ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে।

পেশাগত ব্যস্ততার মাঝেও সন্তানের সঙ্গে সময় কাটানো এই সুপারস্টারের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলেই জানিয়েছেন তিনি। তার কথায়,
“পরিবারের মানুষদের ভালোবাসা আর মুহূর্তগুলোই তো জীবনের আসল সম্পদ।”


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.