প্রিয়াংকা বলেন, “কয়েক দিন হলো আমি আমিষ ছেড়েছি। এখন আমি নিরামিষভোজী। রাতে আমি গরম স্যুপ খাই, যা খুবই সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর। দুপুরে আমি বেশি করে স্যুপ, ডাল, ঢেঁড়স, আলু-ফুলকপির তরকারি খাই। সঙ্গে রায়তা, আচার এবং সালাদ থাকা খুব জরুরি।”
নিরামিষাশীদের তালিকায় যোগ দিয়ে প্রিয়াংকা এখন আলিয়া ভাট, বিরাট কোহলি, শাহিদ কাপুর, অক্ষয় কুমারের মতো তারকাদের সঙ্গে নাম লিখিয়েছেন। কিন্তু কেন নিরামিষের দিকে ঝুঁকছেন এই তারকারা? বিশেষজ্ঞরা এর পেছনে কয়েকটি কারণ চিহ্নিত করেছেন:
১. স্বাস্থ্যকর প্রোটিন: প্রাণিজ প্রোটিনে স্যাচুরেটেড ফ্যাট বেশি থাকে, যা কোলেস্টেরল বাড়িয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি তৈরি করে। উদ্ভিজ প্রোটিনে স্যাচুরেটেড ফ্যাট কম থাকে, যা হৃদযন্ত্রের জন্য ভালো।
২. ওজন নিয়ন্ত্রণ: গবেষণায় দেখা গেছে, নিরামিষাশীরা আমিষভোজীদের তুলনায় দ্রুত ওজন কমাতে পারেন।
৩. ক্যানসার প্রতিরোধ: দ্য ওয়ার্ল্ড ক্যানসার রিসার্চ ফান্ডের মতে, সপ্তাহে একদিন নিরামিষ খাবার গ্রহণ ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে পারে। শাকসবজি বেশি খাওয়া এবং প্রক্রিয়াজাত মাংস এড়ানো এতে সহায়ক।
৪. পেটের স্বাস্থ্য: নিরামিষ খাবারে ফল ও শাকসবজি বেশি থাকায় পেটের সংক্রমণের ঝুঁকি কমে। মাছ, মাংস বা ডিম বেশি খেলে পেটের সমস্যা বাড়তে পারে।
৫. প্রদাহ কমানো: উদ্ভিজ্জ খাবারে ফাইবার বেশি থাকে, যা শরীরে প্রদাহ কমায় এবং ফুসফুসের স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী।
প্রিয়াংকার এই নিরামিষ জীবনযাপনের সিদ্ধান্ত তার ভক্তদের মধ্যেও স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস নিয়ে আগ্রহ তৈরি করছে। বলিউডের এই তারকার নতুন এই পথচলা অনেকের জন্যই অনুপ্রেরণা হতে পারে।