রাম্যা মোহনের দাবি, বিজয় সেতুপতি সাধুর ছদ্মবেশে রয়েছেন, তার আসল রূপ সাধারণ মানুষ জানে না। তিনি লেখেন, ‘সেতুপতিকে সাধুর মতো দেখা হয়। কিন্তু তার আসল রূপ তো কেউ দেখেনি।’ তিনি আরও বলেন, দক্ষিণ ভারতের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে মাদক সেবন এবং কাস্টিং কাউচ যেন তুচ্ছ বিষয়। এই অন্ধকার জগতেরই একজন প্রতিনিধি হিসেবে উল্লেখ করেন বিজয় সেতুপতিকে।
রাম্যা আরও দাবি করেন, তিনি এক মহিলাকে চেনেন, যিনি বিজয়ের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। সেই নারী শেষ পর্যন্ত ঠাঁই পেয়েছেন একটি পুনর্বাসন কেন্দ্রে। রাম্যা বলেন, শুধুমাত্র যৌন হেনস্তা নয়, আর্থিক তছরুপের সঙ্গেও নাকি যুক্ত এই জনপ্রিয় অভিনেতা।
তবে পোস্টটি কিছুক্ষণের মধ্যেই মুছে ফেলেন রাম্যা মোহন। কেন ডিলিট করলেন পোস্ট? সে ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তিনি। রাম্যা জানান, “আমি আবেগের বশে ওই পোস্টটি করেছিলাম। পরে বুঝতে পারি, যাঁর ঘটনা বলেছি, তাঁর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে। তাই আমি পোস্টটি মুছে ফেলেছি।” বিষয়টি নিয়ে এখনো বিজয় সেতুপতির পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, একসময় দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করে আজকের অবস্থানে পৌঁছেছেন বিজয় সেতুপতি। অভিনয়ে আসার আগে একটি প্রতিষ্ঠানে অ্যাকাউন্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করতেন তিনি। কিন্তু স্বল্প আয়ের কারণে পরিবারকে তেমন সাহায্য করতে পারেননি। এরপর অভিনয়ে পা রাখেন, আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। এখন তিনি দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমার অন্যতম ব্যস্ত ও জনপ্রিয় অভিনেতা। তবে রাম্যা মোহনের এই অভিযোগ তার ক্যারিয়ারে প্রভাব ফেলবে কি না, তা সময়ই বলবে।