Sunday, September 7, 2025

আহমেদ শরীফের কষ্টের কথা: ঢালিউড ছেড়ে বিদেশে, শিল্পীদের জন্য নিশ্চিত ব্যবস্থার দাবি

দীর্ঘদিন ধরে অভিনয়ে অনিয়মিত ঢালিউডের প্রখ্যাত অভিনেতা আহমেদ শরীফ। একসময়ের আলোচিত এই অভিনেতা এখন আর ঢাকায় থাকেন না, বসবাস করছেন যুক্তরাষ্ট্রে। সম্প্রতি দেশে ফিরে তিনি আজ রোববার (৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫) বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (এফডিসি) হাজির হন। সেখানে তিনি অভিনয় থেকে দূরে থাকার কারণ এবং নিজের কষ্টের কথা খোলাখুলি জানান।

আহমেদ শরীফ সর্বশেষ হিমেল আশরাফ পরিচালিত ‘প্রিয়তমা’ ছবিতে অভিনয় করেছেন, যেখানে তার অভিনয় ব্যাপক প্রশংসিত হয়। আজ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির উদ্যোগে এফডিসিতে প্রয়াত শিল্পীদের স্মরণে বিশেষ দোয়া ও স্মৃতিচারণা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে সোহেল রানা, আহমেদ শরীফসহ অনেক অভিনয়শিল্পী ও কলাকুশলী অংশ নেন। এই আয়োজনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আহমেদ শরীফ বলেন, “আমি যদি আজ বাংলাদেশে থাকতাম, নিশ্চিত আমার অবস্থা ভালো থাকত না। আমাকে হাত পাততে হতো। লোকের কাছে টাকা চাইতে হতো। বাংলাদেশে থাকলে আমাকে চিন্তা করতে হতো, আমার বাড়িতে খাবার নেই। চলার জন্য বলতে হতো, আমাকে টাকা দাও।”

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আহমেদ শরীফ ও তার স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য ৩৫ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছিলেন। চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাবেক এই সভাপতি এফডিসিতে বলেন, অর্থকষ্টে ভুগতে না হওয়ার জন্যই তিনি ঢালিউড ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন। তিনি বলেন, “আজ বাঁচার জন্য অভিনয়শিল্পীরা বিভিন্ন দিকে যাচ্ছেন। শুধু ফিল্ম নয়, টেলিভিশনেরও বহু শিল্পী বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছেন, থাকছেন। একটিই কারণ—এখানে আনন্দ-বিনোদন করে বা নিশ্চিন্তে জীবনযাপনের কোনো নিরাপত্তা নেই। এটাই আমার কষ্ট।”

অনুষ্ঠানে শেষে আহমেদ শরীফ শিল্পীদের জন্য নিশ্চিত ব্যবস্থার দাবি জানান। তিনি বলেন, “আমরা চাই, দেশে শিল্পীরা ভালো করুক, শিল্পীদের নিশ্চয়তা তৈরি হোক—যা কোনো দিনও হয়নি। আমি যদি ভবিষ্যতে দেশে আসি, সরকারের কাছে নিশ্চিত ব্যবস্থা চাইব। শিল্পীদের নিশ্চিত ব্যবস্থা দিতে হবে।” অনুষ্ঠান শেষে শিল্পী সমিতির উদ্যোগে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়।


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.