গত ১৫ আগস্ট জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধা জানিয়ে শোক প্রকাশ করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী তাকে ‘কালচারাল ফ্যাসিস্ট’ তকমা দিয়ে তার ছবিতে জুতা নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে সোমবার (১৮ আগস্ট) ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন আরশ। তিনি লেখেন, “গত বছর এক দলের কর্মীরা অনলাইনে আমাকে প্রচণ্ড উত্যক্ত করেছে। আর এই বছর জুতা দিয়ে বরণ করলো আরেক দল। সম্পর্ক বদলে গেল একটি পলকে।”
আরশ তার স্ট্যাটাসে নিজের জীবন, শিক্ষা ও দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি লেখেন, “১৯৯৩ সালের ফেব্রুয়ারির ২ তারিখ আমার জন্ম। স্কুল জীবনে জন্ম তারিখ পরিবর্তন করে দেওয়া হলো যেন সরকারি চাকরি পাওয়া যায় সহজে। এরপর শিখলাম সম্পর্ক, ধর্ম, ইতিহাস। কিন্তু আমার শিক্ষা জীবনের ২৩ বছরে দেখলাম শুধু বদলাচ্ছে সরকার, বদলাচ্ছে বই, বদলাচ্ছে ইতিহাস। আমার দেশে ইতিহাস না জানার দায় শুধু আমার নয়, দায় শিক্ষা বোর্ড, দায় স্কুল-কলেজ-ইউনিভার্সিটির।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, “আমাদের দেশে স্থানের নাম পরিবর্তন করতে করতে হাজার কোটি টাকা খরচ হয়ে যায়। ক্ষমতায় থাকলে সবাই ভালো, ক্ষমতার বাইরে গেলে খারাপ। এভাবেই আমাদের জীবন ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে।”
স্ট্যাটাসের শেষে তরুণদের প্রতি হতাশা প্রকাশ করে আরশ লেখেন, “আমার অনুজদের প্রতি একটাই উপদেশ, তোমরা সুযোগ পেলেই বিদেশে চলে যেও। নিজের মতো জীবন গড়ে নিও। এই দেশে আমজনতা হওয়ার থেকে বড় গুনাহ আর কিছু নাই।”
এই স্ট্যাটাসে আরশ খানের ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ পেলেও, তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
