Monday, September 8, 2025

জুঁই ফুলের মালায় মোটা জরিমানা: মেলবোর্ন বিমানবন্দরে বিপাকে নব্যা নায়ার

 মালায়ালাম অভিনেত্রী নব্যা নায়ারের জন্য জুঁই ফুলের মালা হয়ে উঠল বিপদের কারণ। মেলবোর্ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এই নিরীহ ফুলের মালার জন্য তাকে গুণতে হলো প্রায় ১ লাখ ১৪ হাজার রুপির জরিমানা। তবে এই চমকপ্রদ অভিজ্ঞতাকে তিনি জীবনের বড় শিক্ষা হিসেবে গ্রহণ করেছেন।

গত ৫ সেপ্টেম্বর নব্যা তার ইনস্টাগ্রামে জুঁই ফুলের মালা মাথায় গুঁজে একটি ভিডিও শেয়ার করেছিলেন। ভিডিওর সঙ্গে মালায়ালম ভাষায় ব্যঙ্গাত্মক ক্যাপশন ছিল, “জরিমানা দেওয়ার ঠিক আগের নাটক!” যদিও পরে তিনি এই ক্যাপশন মুছে ফেলেন।

ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, নব্যা সম্প্রতি মালয়ালি অ্যাসোসিয়েশন অব ভিক্টোরিয়া আয়োজিত ওনাম উৎসবে যোগ দিতে অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়েছিলেন। সেখানে একটি অনুষ্ঠানে তিনি এই ঘটনার কথা শেয়ার করেন।

জানা গেছে, কোচি ছাড়ার আগে নব্যার বাবা তার জন্য জুঁই ফুলের মালা কিনেছিলেন। কোচি থেকে সিঙ্গাপুর যাওয়ার পথে তিনি একটি মালা চুলে পরেছিলেন, আরেকটি ব্যাগে রেখেছিলেন। মেলবোর্ন বিমানবন্দরে তার ক্যারি-অন ব্যাগে প্রায় ১৫ সেন্টিমিটার লম্বা জুঁই ফুলের মালা পাওয়া যায়। এর জন্য তাকে থামানো হয় এবং ১,৯৮০ অস্ট্রেলীয় ডলার (প্রায় ১ লাখ ১৪ হাজার রুপি) জরিমানা করা হয়। অভিবাসন কর্মকর্তারা তাকে ২৮ দিনের মধ্যে জরিমানা পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছেন।

নব্যা স্বীকার করেছেন, এই কাজটি অস্ট্রেলিয়ার আইনের পরিপন্থী ছিল, তবে তিনি এটিকে অজান্তে করা ভুল বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, “আমি জানতাম না যে এটা আইনের বিরুদ্ধে। এটা অজান্তে হয়েছে, তবে অজ্ঞতা কোনো অজুহাত নয়।”

অস্ট্রেলিয়ার কৃষি, মৎস্য ও বন বিভাগের নিয়ম অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীরা তাজা কাটা ফুল বা পাতা আনতে পারেন শুধুমাত্র তখনই, যদি তারা আগমনের সময় সংশ্লিষ্ট তথ্য লিখিতভাবে জমা দেন। এরপর জৈব সুরক্ষা কর্মকর্তারা ফুল ও পাতা কীটপতঙ্গ এবং রোগের জন্য পরীক্ষা করেন। যদি কোনো যাত্রী আগমনকারী কার্ডে উদ্ভিদ উপাদান ঘোষণা করতে ব্যর্থ হন, তাহলে তাকে ৬,৬০০ অস্ট্রেলীয় ডলার পর্যন্ত জরিমানা, ফৌজদারি মামলা বা এমনকি ভিসা বাতিলের মতো শাস্তির মুখোমুখি হতে হয়।


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.