বলিউডের ‘বিতর্কের রানি’ খ্যাত অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত আবারও আলোচনায়। তাঁর স্পষ্টবাদী স্বভাবের জন্য বরাবরই আলোচিত তিনি এবার মুখ খুলেছেন বিবাহিত পুরুষদের সঙ্গে সম্পর্ক এবং এর জন্য নারীদের দোষারোপের প্রবণতা নিয়ে। সম্প্রতি ‘হাউটারফ্লাই’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি সমাজের এই ভুল মানসিকতার বিরুদ্ধে কথা বলেছেন।
কঙ্গনা বলেন, “যখন আপনি তরুণ ও উচ্চাকাঙ্ক্ষী, আর কোনো বিবাহিত পুরুষ আপনার প্রতি আগ্রহ দেখায়, তখন সেই সম্পর্কে জড়ানোর জন্য শুধু নারীকেই দোষী করা হয়। এটা পুরুষের দোষ নয়। সমাজ সব সময় নারীদের দায়ী করতে পছন্দ করে। এমনকি ধর্ষণের শিকার নারীদেরও তাদের পোশাক বা রাতে বাইরে থাকার জন্য দোষ দেওয়া হয়। এগুলো ভুল মানসিকতার প্রতিফলন।”
কঙ্গনা নিজের অতীতের একটি অভিজ্ঞতার কথাও উল্লেখ করেন। তিনি জানান, ১৭ বছর বয়সে তিনি অভিনেতা আদিত্য পাঞ্চোলির সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন, যিনি তখন বিবাহিত এবং সন্তানের জনক ছিলেন। ২০১৯ সালে কঙ্গনা আদিত্যের বিরুদ্ধে হেনস্তা ও ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করেন। তবে এই ঘটনার পরেও দোষের বোঝা তাঁর ওপরই বর্তায়। তিনি বলেন, “এটা আমার জন্য খুব কঠিন সময় ছিল। আমার ওপর শারীরিক অত্যাচার করা হয়েছিল। আমি ভেবেছিলাম, মানুষ আমাকে সাহায্য করবে। কিন্তু নারী হওয়ার কারণে আমাকে যেন ফাঁদে ফেলা হয়। আমি আদিত্যের স্ত্রী জারিনা ওয়াহাবের কাছেও সাহায্য চেয়েছিলাম।”
২০০৬ সালে ‘গ্যাংস্টার’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হয় কঙ্গনার। এরপর ‘ওহ লামহে’ (২০০৬) ও ‘লাইফ ইন এ মেট্রো’ (২০০৭)-এর মতো ছবিতে অভিনয় করে তিনি দর্শকদের মন জয় করেন। সম্প্রতি তিনি নিজের পরিচালিত, প্রযোজিত ও লেখা ছবি ‘ইমার্জেন্সি’-তে অভিনয় করেছেন।
কঙ্গনার এই স্পষ্টবাদী মন্তব্য সমাজে নারীদের প্রতি দোষারোপের প্রবণতার বিরুদ্ধে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। তাঁর কথায় ফুটে উঠেছে তাঁর সাহসী ও অকপট স্বভাব, যা তাঁকে বলিউডে এক অনন্য ব্যক্তিত্ব করে তুলেছে।