Tuesday, July 8, 2025

‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ সিজন-৫ এর নির্মাতা ও শিল্পীদের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ

 


ঢাকা, ৮ জুলাই ২০২৫: জনপ্রিয় টেলিভিশন ধারাবাহিক ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’-এর পঞ্চম সিজনের কয়েকটি পর্বে অশ্লীলতা, সামাজিক অবক্ষয় এবং নৈতিক বিচ্যুতির অভিযোগে নাটকের নির্মাতা, অভিনেতা ও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মহি উদ্দিন (মহি শামীম) মঙ্গলবার (৮ জুলাই) এই নোটিশ প্রেরণ করেন। তিনি নিজেই গণমাধ্যমের কাছে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নোটিশে নির্মাতা কাজল আরেফিন অমি, অভিনেতা মারজুক রাসেল, জিয়াউল হক পলাশ, সাইদুর রহমান পাভেল, শিমুল শর্মা এবং প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান বুম ফিল্মসকে বিবাদী করা হয়েছে।

নোটিশে দাবি করা হয়েছে, ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ সিজন-৫ এর ১ থেকে ৮ নম্বর পর্বে ব্যবহৃত সংলাপগুলো অশ্লীল ও ডাবল মিনিংযুক্ত। এগুলো কিশোর-তরুণদের মানসিকতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে এবং নারীদের প্রতি অবমাননাকর মনোভাব ছড়াচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে নোটিশে কিছু সংলাপ উল্লেখ করা হয়েছে, যেমন—‘ডেট’, ‘উনিশ/বিশ’, ‘টাকা হলে সীসা খেতে পারতাম’, ‘বাঙালি পোশাক লুঙ্গি’, ‘ফিমেল’, ‘কিডনি’, ‘দই’। এই শব্দ ও সংলাপগুলোকে ‘নৈতিকতা, শালীনতা ও পারিবারিক রুচির পরিপন্থি’ বলে অভিযোগ করা হয়েছে। আইনজীবী মহি উদ্দিনের দাবি, এই সংলাপগুলো তরুণদের মুখে মুখে ঘুরছে, যা সামাজিক শালীনতার জন্য ক্ষতিকর।

নোটিশে আরও বলা হয়েছে, নাটকটির বিষয়বস্তু ‘জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা ২০১৪’ এবং ‘জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা ২০১৭’ লঙ্ঘন করছে। এই নীতিমালায় শিশু ও কিশোরদের মানসিক বিকাশের জন্য ক্ষতিকর কনটেন্ট প্রচারকে দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

নোটিশে বিতর্কিত সংলাপ ও ভিডিওগুলো অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। অন্যথায় আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। নোটিশে নির্মাতা কাজল আরেফিন অমির একটি পুরোনো সাক্ষাৎকারের উল্লেখ করা হয়, যেখানে তিনি বলেছিলেন, নাটকটি সব বয়সী দর্শকের জন্য তৈরি। তবে আইনজীবীর দাবি, নাটকের ভাষা ও উপস্থাপনা কোনোভাবেই পরিবারবান্ধব নয়।

২০১৮ সালে শুরু হওয়া ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ ধারাবাহিকটি একদল তরুণ ব্যাচেলরের জীবনকে কেন্দ্র করে নির্মিত। এর আগের চারটি সিজন ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করলেও পঞ্চম সিজনের সংলাপ ও বিষয়বস্তু নিয়ে দর্শকদের একাংশের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। এই অসন্তোষ এবার আইনি নোটিশের মাধ্যমে নতুন মাত্রা পেয়েছে।


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.